লোক কবি বিজয় সরকার
লোককবি বিজয় সরকার ছিলেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মূর্ত প্রতীক। তিনি সব ধর্মের সমন্বয়ের লোককবি। ধর্মের পথ ভিন্ন হতে পারে উদ্দেশ্য মানবজাতির একই। তাই তো তাঁর অসাম্প্রদায়িক মন গেয়ে চলে-
‘জল পানি আর ওয়াটার বলে মানুষের ধারণ
যে নামে সে জানে মনে পিপাসার কারণ,
বাংলা ভাষা-ভাষিদের মননে লোককবি বিজয় সরকার আছে বাংলা গানে, কবিগানের পালায়। এই অসামান্য লোককবির জন্ম (১৯০৩-১৯৮৫) ৭ই ফাল্গুন জন্ম দিন ও ১৮ অগ্রাহায়ন স্বর্গারোহন। কবির জন্মভুমি নড়াইলের নিভৃত পল্লী ডুমদী গ্রামে। মাঝি-মোল্লা, কৃষক-মজুর, আউল-বাউল-ফকির সমস্ত নিম্নবর্গের মানুষ এই লোক সংগীতের শক্তি সঞ্চয় করেছে। আর নাগরিক মানুষ থেকে পথের ভিকারী সবাই বিজয় বিরহে গানে মজেছে-
‘আমার পোষা পাখি উড়ে যাবে সজনী
একদিন ভাবি নাই মনে।
সে কি আমায় ভুলবে কখনে।।’
লোককবি বিজয় সরকার শুধুমাত্র একজন সুরকার ছিলেন না, তালিকাভুক্ত গীতিকার হিসাবে তাঁর নাম খুলনা বেতারে পাওয়া যায়। তাই তো বাংলার লোক সংগীতাঙ্গণে যতগুলি উজ্জ্বল নক্ষত্র জন্ম গ্রহন করেছেন লোককবি বিজয় সরকার তাদের মধ্যে এক বিশেষ স্থান দখল করে আছেন। কবির গান গুলি ছিল আধ্যাত্মিক, মরমী ভাব ধারার আত্মদার্শনিক চিন্তার প্রকাশ। মরমী চিন্তার দার্শনিক প্রভাব আমরা তাঁর গানে পাই-
‘কেহ বলে অদ্বৈতবাদ, কেহ বা মানে দ্বৈতবাদ
শূন্যবাদ আর জড়বাদ, এই বাদে বিবাদ বাঁধায়।
পরস্পরের বলে বিরুদ্ধে, বিজয় বীর তর্কযুদ্ধে।
সত্য আছে কোনটার মধ্যে জানবার কি আছে উপায়।’
অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রাণ পুরুষ কবি নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্ন রেখে অনেক গান রচনা করেছেন, যার কারনে আজও মানুষ তাঁর গান হৃদয়ে ধারণ করে সুরের লহরী ছড়ায় আসরে আসরে। বিজয় সরকার তাঁর ভক্ত ও স্থানীয়দের কাছে ‘পাগল বিজয়’ হিসাবে সমাধিক পরিচিত। প্রিয় নড়াইল বাসি অনেক বড় পরিসরে প্রতি বছর তাঁর জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকি পালন করে থাকেন। বাংলার পল্লী প্রকৃতির পালাগান ও কবিগানের আসরে বর্তমান শিল্পীরা আজও বিজয় বন্ধনা করে কবিগান শুরু করেন। পাগল বিজয় এর গান না থাকলে পালাগান বা কবিগানের আসর পরিপূর্ণ হয় না।
একজন কবিকে একটি জাতি বা সমাজে আবদ্ধ রাখা যায় না। তাঁর মহিমা প্রকাশিত হয় তাঁর গুণের মধ্যে দিয়ে দেশ-দেশান্তরে। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল আমাদের কাছে অমর হয়ে আছেন তাদের অসামান্য সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে । পাগল বিজয় সরকার আমাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন তাঁর গানের মধ্যে দিয়ে।
‘এই পৃথিবী যেমন আছে তেমনি ঠিক রবে,
সুন্দর এ পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে।’
লোককবি বিজয় সরকার ছিলেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মূর্ত প্রতীক। তিনি সব ধর্মের সমন্বয়ের লোককবি। ধর্মের পথ ভিন্ন হতে পারে উদ্দেশ্য মানবজাতির একই। তাই তো তাঁর অসাম্প্রদায়িক মন গেয়ে চলে-
‘জল পানি আর ওয়াটার বলে মানুষের ধারণ
যে নামে সে জানে মনে পিপাসার কারণ,
বাংলা ভাষা-ভাষিদের মননে লোককবি বিজয় সরকার আছে বাংলা গানে, কবিগানের পালায়। এই অসামান্য লোককবির জন্ম (১৯০৩-১৯৮৫) ৭ই ফাল্গুন জন্ম দিন ও ১৮ অগ্রাহায়ন স্বর্গারোহন। কবির জন্মভুমি নড়াইলের নিভৃত পল্লী ডুমদী গ্রামে। মাঝি-মোল্লা, কৃষক-মজুর, আউল-বাউল-ফকির সমস্ত নিম্নবর্গের মানুষ এই লোক সংগীতের শক্তি সঞ্চয় করেছে। আর নাগরিক মানুষ থেকে পথের ভিকারী সবাই বিজয় বিরহে গানে মজেছে-
‘আমার পোষা পাখি উড়ে যাবে সজনীএকদিন ভাবি নাই মনে।
সে কি আমায় ভুলবে কখনে।।’
লোককবি বিজয় সরকার শুধুমাত্র একজন সুরকার ছিলেন না, তালিকাভুক্ত গীতিকার হিসাবে তাঁর নাম খুলনা বেতারে পাওয়া যায়। তাই তো বাংলার লোক সংগীতাঙ্গণে যতগুলি উজ্জ্বল নক্ষত্র জন্ম গ্রহন করেছেন লোককবি বিজয় সরকার তাদের মধ্যে এক বিশেষ স্থান দখল করে আছেন। কবির গান গুলি ছিল আধ্যাত্মিক, মরমী ভাব ধারার আত্মদার্শনিক চিন্তার প্রকাশ। মরমী চিন্তার দার্শনিক প্রভাব আমরা তাঁর গানে পাই-
‘কেহ বলে অদ্বৈতবাদ, কেহ বা মানে দ্বৈতবাদ
শূন্যবাদ আর জড়বাদ, এই বাদে বিবাদ বাঁধায়।
পরস্পরের বলে বিরুদ্ধে, বিজয় বীর তর্কযুদ্ধে।
সত্য আছে কোনটার মধ্যে জানবার কি আছে উপায়।’
অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রাণ পুরুষ কবি নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্ন রেখে অনেক গান রচনা করেছেন, যার কারনে আজও মানুষ তাঁর গান হৃদয়ে ধারণ করে সুরের লহরী ছড়ায় আসরে আসরে। বিজয় সরকার তাঁর ভক্ত ও স্থানীয়দের কাছে ‘পাগল বিজয়’ হিসাবে সমাধিক পরিচিত। প্রিয় নড়াইল বাসি অনেক বড় পরিসরে প্রতি বছর তাঁর জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকি পালন করে থাকেন। বাংলার পল্লী প্রকৃতির পালাগান ও কবিগানের আসরে বর্তমান শিল্পীরা আজও বিজয় বন্ধনা করে কবিগান শুরু করেন। পাগল বিজয় এর গান না থাকলে পালাগান বা কবিগানের আসর পরিপূর্ণ হয় না।
একজন কবিকে একটি জাতি বা সমাজে আবদ্ধ রাখা যায় না। তাঁর মহিমা প্রকাশিত হয় তাঁর গুণের মধ্যে দিয়ে দেশ-দেশান্তরে। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল আমাদের কাছে অমর হয়ে আছেন তাদের অসামান্য সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে । পাগল বিজয় সরকার আমাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন তাঁর গানের মধ্যে দিয়ে।
‘এই পৃথিবী যেমন আছে তেমনি ঠিক রবে,
সুন্দর এ পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে।’
No comments:
Post a Comment